ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নগরকান্দা থানা বিএনপির উপদেষ্টা ও তিনবারের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ খানকে মনোনয়ন না দিয়ে তরুন এক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়ায় ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।
মনোনয়ন বাতিল করে ফিরোজ খানকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
তালমা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ খান অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমানের আমল থেকে আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি। তালমা এলাকায় জিয়াউর রহমান খাল কাটা কর্মসূচিতে আসলে তাকে সার্বিক সহযোগীতা করেছি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে আমি তালমা ইউনিয়ন পরিষদে পরপর তিনবার বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এবার আমি বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলাম। স্থানীয় নেতারা আমাকে সমর্থন করলেও প্রভাবশালী একনেতার কারনে আমি বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাইনি। আমার কাছে মনে হচ্ছে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ‘বানিজ্য’ হয়েছে। আমি বিএনপির জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। অথচ আজ বিএনপির মনোনয়ন পেলাম না। এটা বেশ কষ্টের।
বিএনপির মনোনয়ন ফিরোজ খানকে না দেয়ায় বেশ ক্ষুব্দ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় কয়েক বিএনপি নেতা জানান, দলের মধ্যে গ্রুপিং থাকায় তিনবারের চেয়ারম্যান ফিরোজ খানকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। ফলে বিএনপির দীর্ঘদিনের এলাকা হিসাবে খ্যাত তালমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবার হাতছাড়া হতে পারে।
এদিকে, বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সৈয়দ আকরামুজ্জামান রিপন জানান, আমি দেশের কোন কলেজে পড়ালেখা করিনি। আমি অস্টেলিয়ার পড়ালেখা করেছি। দেশে পড়ালেখা না করে কিভাবে ছাত্রলীগ করলাম এটা আমার প্রশ্ন। তাছাড়া আমার পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমাকে নিয়ে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা বিএনপির কেউ নন। আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে বর্তমান চেয়ারম্যান চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিডি প্রতিদিন/ ১১ মে, ২০১৬/ হিমেল-২৫