চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কের গুপ্তপীরের মাজারের কাছে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৩০ জন জখম হয়েছেন। তাদের জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে এ ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ডাকাতরা পথচারীদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অনেকেই পুলিশের নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন।
ডাকাতির শিকার ব্যবসায়ী আবুল হাশেম জানান, ১৫/২০ জনের এক ডাকাতদল সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে উভয় দিকে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ ২৫/৩০টি যানবাহনের গতিরোধ করে। এসময় তারা ভীতি সৃষ্টি করার জন্য অতর্কিতে ছুরিকাঘাত করে।
ডাকাতির শিকার কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় পুলিশ সন্তোষপুর বাসস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানে বসে টেলিভিশন দেখছিলো। এসময় কয়েকবার পুলিশের কাছে ফোন করা হলেও পুলিশ ফোন রিসিভ করেনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা ডাকাতি চলার পর পুলিশ ও জনতা ঘটনাস্থলে এলে ডাকাতদল সটকে পড়ে।
ডাকাতদলের ছুরিকাঘাতে জখম জাকির হোসেন (৪৪), লিটন হোসেন (৩৫), সাইদুর রহমান (৫০), মো. চঞ্চল (২৭), রাহুল (২৬), কামরুল ইসলাম (২২), ইনামুল হক (২২) ও অভি সরকারকে (২৪) রাতেই জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে জাকির হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) জানান, ডাকাতদলকে আটক করার জন্য অভিযান চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/১২ মে, ২০১৬/মাহবুব