নিখোঁজের এক বছর পর কুষ্টিয়া কুমারখালীর গড়াই ইট ভাটার মালিক ও বিএনপি নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজের কংকাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আসামিদের জবানবন্দি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে বুধবার রাত সাড়ে আটটায় কুমারখালী থানা পুলিশ লাহিনী পাড়া মীর মোশাররফ হোসেন সেতুর পাশে গড়াই নদীর তলদেশের বালি সরিয়ে মিরাজের দেহের কংকালের কিছু অংশ উদ্ধার করে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু জানান, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ার মৃত আব্দুল গণি শেখের পুত্র এবং চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, ২০১৫ সালের ৪ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মিরাজ তার ব্যবসায়িক অংশীদার কোহিনুরের মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে লাহিনী বটতলা মোড়ে আসার পর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় পরের দিন ৫ জুন মিরাজের স্ত্রী শখি খাতুন কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে সেটি মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকাণ্ড সর্ম্পকে নিশ্চিত হয়ে এরসঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে শনাক্ত করে ৭ জনকে আটক করে। বর্তমানে ৬ জন জেল হাজতে রয়েছে। বাকী দুই জন পলাতক এবং একজন জামিনে আছে।
তিনি আরও জানান, আটককৃত আসামিদের মধ্যে সলেমান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মিরাজ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তিতে বুধবার রাত সাড়ে আটটায় গড়াই নদীর বালির তলদেশ থেকে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুজির পর মিরাজের দেহাবশেষ কংকাল উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ জুন, ২০১৬/মাহবুব