ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি কমলেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নানা দুর্ভোগ। ফরিদপুর সদরসহ চারটি উপজেলায় বর্তমানে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় পদ্মার পানি বিপদ সীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙ্গনে ফরিদপুর-ভাংগা-তারাইল সড়কের প্রায় দেড়শ মিটার নদী গর্ভে চলে গেছে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ আতংকিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবার কথা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ।অন্যদিকে, ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় বেড়েছে দুর্ভোগ।
তবে এখনো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলার ৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্যার কারণে নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় ১০ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান ও ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন পানি বেশ কিছুটা কমবে। জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (এনডিসি) মনদীপ ঘরাই জানান, পানিবন্দী এলাকার মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪শ' মেট্রিক টন চাল এবং ১০ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে। এছাড়া বন্যা দুর্গত চারটি এলাকায় ৪৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৫ আগষ্ট ২০১৬/হিমেল-১৬