মুন্সীগঞ্জে পাষণ্ড স্বামীর ইলেক্ট্রিক শকে গৃহবধূ সীমা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
জানা গেছে ১১ বছর আগে জেলার লৌহজং থানার জশলদিয়া গ্রামের কৃষক হাতেম আলীর মেয়ে সীমা আক্তারের বিয়ে হয় পাশের থানা শ্রীনগরের কামার খাড়া গ্রামের মৃত কানু শেখের ছেলে পান্নু শেখের সাথে। বিয়ের সময় পান্নুকে নগদ টাকা আর আসবাবপত্র দিলেও যৌতুকের টাকার জন্য প্রায়ই চাপ দিয়ে আসছিল সীমাকে। সীমার বাবা গরিব কৃষক। তিনি তার অপরাগতার কথা পান্নুকে জানালেও সে সীমার ওপর নির্যাতন শুরু করে। এরই মাঝে ২ সন্তান জন্ম দেয় সীমা। মাঝে মধ্যে গরিব পিতার কাছ থেকে টাকাও এনে দেয় সীমা। কিন্তু পান্নু বেকার হওয়ায় পরের বাড়িতে কাজ করে সংসারের হাল ধরেন সীমা। টানাপোড়েনের সংসারে স্বামী পান্নু স্ত্রীর কাছে রোজ নেশার টাকা দাবি করে। টাকার জোগান না দিতে পারলে অমানুষিক অত্যাচার চালায় স্ত্রীর ওপর।
গত ৭ আগষ্ট সন্ধায় পান্নু টাকা চায় স্ত্রী সীমার কাছে। সীমা টাকা পাবে কোথায় জানালেই তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। সীমা মার খেয়ে বেহুশ হয়ে পড়লে তাকে ইলেক্ট্রিক তার দিয়ে শক দিতে থাকে। এ ঘটনা দেখে সীমার ৭ বছরের মেয়ে সামিয়া মাকে বাঁচাতে চিৎকার করে কাঁদতে থাকলে প্রতিবেশীর ছুটে আসে। তাদের সহায়তায় সীমা মুমূর্ষু অবস্থায় পাশের গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে হিয়ে ওঠে। সীমা শ্রীনগর থানায় গেলেও সেখান থেকে তাকে আদালতে যেতে বলা হয়। অবশেষে জেলা লিগ্যাল এইডের কর্মকর্তার উদ্যোগে সীমাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, সীমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। পুষ্টির অভাব এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম রয়েছে। গলার চামড়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সে এখন সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের ৪ নম্বর সিটে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। হাসপাতালে তাকে দেখার কেউ নাই। আরএমও এবং লিগ্যাল এইডের দুই কর্মচারি জয় এবং জুবায়েরই তার দেখাশুনা করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ