বাগেরহাটে ঝড়ো হাওয়ায় ও অবিরাম বৃষ্টির ফলে গাছ উপড়ে চাপা পড়ে গীতা রাণী দাস (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে সদর উপজেলার চুলকাঠি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গীতা রাণী দাস চুলকাঠি গ্রামের প্রয়াত গোবিন্দ দাসের স্ত্রী।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটা থেকে বাগেরহাটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় বাগেরহাট শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মংলা বন্দরে অবস্থান নেয়া জাহাজে মালামাল ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে। বাগেরহাট জেলা কালেক্টরেটের ৬ টি কক্ষের প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজপত্র ভিজে গেছে। পলিথিন দিয়ে কাগজপত্র রক্ষার চেষ্টা চলছে।
চুলকাঠি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, সকাল ছয়টার দিকে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হওয়ায় একটি মেগনিস গাছ নিমাই দাসের বসতঘরে উপড়ে পড়ে। এতে নিমাই দাসের মা গীতা রাণী দাস চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। তিনি এসময় ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারি ব্যবস্থাপক কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, মংলা বন্দরে বর্তমানে ক্লিংকার, সার, কনটেইনারবাহীসহ মোট সাতটি জাহাজ রয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় কারণে জাহাজের মাল উঠা-নামার কাজ বন্ধ রয়েছে।
বাগেরহাট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী পলাশ পাল বলেন, শহরের বিভিন্ন এলকায় গাছ উপড়ে ও ডালপালা পড়ে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে আছে। রাত থেকে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। তারের উপর পড়ে থাকা গাছপালা সরাতে কর্মীরা কাজ করছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম বলেন, অরিরাম বর্ষা ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতি রোধে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া গাছ চাপায় নিহত নারীর পরিবারকে আর্থিক সহয়তা দেয়া হবে। জেলা কালেক্টরেট ভবনের ৩ টি ব্লকের ৬ টি কক্ষ পানি পড়ায় পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১০ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-২২