চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার এসআই গাজী মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে এক বাড়িতে তল্লাসীর নামে ১৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো অভিযোগকারীকে অস্ত্র মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন এসআই গাজী মোয়াজ্জেম।
অভিযোগে জানা গেছে, এসআই মোয়াজ্জেম শিবগঞ্জে যোগদানের পর থেকেই নানান অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়লেও তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাইনা। এসআই গাজী মোয়াজ্জেম শাহবাজপুর ইউনিয়নের ফেন্সিডিল ও অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। এমনকি তিনি সাধারণ মানুষকে মামলার ভয়ে দেখিয়ে ও গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এনিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর শুক্রবার গভীর রাতে এসআই গাজী মোয়াজ্জেম কয়েকজন ফেন্সিডিল ব্যবসায়ীকে নিয়ে তল্লাশী চালায় উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের জেনারুল ইসলামের বাড়িতে। এসময় তার বাড়ীতে ঢুকে তল্লাশীর নামে বাক্স থেকে গরু বিক্রির ১৯ হাজার টাকাসহ তার ছোট ছেলের জমানো ৫০ টাকাও নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন জেনারুলে স্ত্রী সাবিয়া বেগম।
তিনি আরও জানান, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা নেই। অথচ এসআই মোয়াজ্জেম ১০/১২জন লোক নিয়ে এসে বাড়িতে তল্লাশী চালায় এবং বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। এসময় কালাম নামে একজনের হাতে একটি ব্যাগে তিনি ফেন্সিডিল দেখতে পান। তার ধারণা ফেন্সিডিল দিয়ে ফাঁসানোর জন্যই পুলিশ জেনারুলকে খুজছিল। যদিও ওই সময় তার স্বামী জেনারুল বাড়িতে ছিলেন না।
এদিকে জেনারুলের ছেলে শ্যামপুর এমএন ইংলিশ একাডেমীর ২য় শ্রেণির ছাত্র আসাদুল হক জানায়, পুলিশ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার বাবা কোথায় আছে জানতে চায়। সে বাবার খবর জানে না বলে জানালে তাকে বিছানা থেকে তুলে লাঠি দিয়ে পিঠানোর হুমকি দেয় ওই দারোগা।
আসাদুল আরও জানায়, পুলিশ তল্লাসী করার সময় বাক্স থেকে টাকা বের করে। এছাড়াও তার জমিয়ে রাখা ৫০ টাকাও নিয়ে যায় পুলিশ। অন্যদিকে ধোবড়া এলাকার রেসমি নামে এক নারী অভিযোগ করে বলেন, দারোগা মোয়াজ্জেম জনৈক কালামের সাথে যোগসাজেস করে তার ছেলে সাগরকে অস্ত্র ও ফেন্সিডিল ব্যবসায় বাধ্য করতে চায়। সাগর তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন মামলা ও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছি কালাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার এসআই গাজী মোয়াজ্জেম ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে বলেন, 'আপনারা এমন অভিযোগ কোথায় পান। আর যে শা.... (অশ্লীল বাক্য) এই অভিযোগ করেছে তাকে অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে দেব।' এর এক পর্যায়ে তিনি জানান, ওই দিন জেনারুলকে ১০হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক করতে যাওয়া হয়েছিল। তবে তিনি কোন টাকা পয়সা নিয়ে আসেননি।
বিডি প্রতিদিন/ ১৬ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল