বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরবদী সংলগ্ন মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা ৯টি মাছ ঘাটে ডাকাতি হয়েছে। স্পিডবোটগামী দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে প্রায় ২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই ডাকাতীর ঘটনা ঘটে।
হিজলা-গৌরবদী ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ চৌকিদার জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ২০-২২ জনের একদল দুর্বৃত্ত ৩টি স্পীডবোটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মেঘনার নতুন চর এলাকার আলাপপুর, খালেশপুর ও বহিষপট্টিতে থাকা ৯টি মাছ ঘাটে হানা দেয়। তারা হিজলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহামুদ টিপু, ৫নং হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন, মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন সরদার, জাহের আকন, কাসেম বেপারী, আলম শরীফ সিকদার, খালেদ দেওয়ান, বিপ্লব বেপারী, নোয়াখালী চর বংশির মো. খালেকের মাছ ঘাটে হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে জেলে ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে প্রায় ২০ লাখ টাকা লুট করে।
আব্দুর রশিদ চৌকিদার আরও বলেন, এসময় বাঁধা দিলে উপজেলার চরকুশুরিয়া গ্রামের রহমান হাজারীকে কুপিয় জখম করে ডাকাত দল। দুর্বৃত্তদের অনেকেই মুখোশ পরিহিত ছিল।
মুখোশ পরিহিতরা স্থানীয় দুর্বৃত্ত বলে ধারনা ইউপি সদস্য রশিদ চৌকিদারের। তিনি আরও জানান, টাকা লুট শেষে দুর্বৃত্তরা স্পীডবোটযোগে পালিয়ে যায়। স্বাধীনতার পর হিজলায় কোন মাছ ঘাটে ডাকাতীর ঘটনা এই প্রথম বলেও জানান ইউপি সদস্য রশিদ।
হিজলা থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে বুধবার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের জের ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তারপরও পুরো বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মেঘনা এবং সংলগ্ন নদী থেকে শিকার করা মাছ ওই সব ঘাটে বিক্রি করেন জেলেরা। সেখান থেকে প্রতি রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় ওই সব মাছ। এ কারণে সেখানে লাখ লাখ টাকার লেনদেন হয়।
বিডি প্রতিদিন/৯ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল