বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সামাজিক বনায়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কয়েকশ' গাছ কেটে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের রায়েন্দা শাখা-২। বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দুর্বত্তরা নদীর তীরবর্তী খাউলিয়া ইউনিয়নের মধ্যবরিশাল গ্রাম থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে ফেলেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেহগনি, রেইন্ট্রি, চম্বল, কড়াই, শিশু ও তালগাছসহ আরও বিভিন্ন জাতের গাছ।
এছাড়াও ফুল মিয়া নামে জনৈক ব্যক্তি গাছ কাটার অভিযোগে থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এই গাছ কাটার মূল নায়ক আওয়ামী লীগ কর্মী বড়পরি গ্রামের মৃত কাদের মাঝির ছেলে বারেক মাঝিকে গ্রেফতার করেছে।
রায়েন্দা পওর শাখা-২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় বলা হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাট এর পোল্ডার নং-৩৫/১ এর অধীন বোর্ড কর্তৃক অধীগ্রহণকৃত জমির উপর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের জায়গা হতে বিভিন্ন জাতের গাছ দুষ্কৃতিকারীরা কেটে ফেলেছে, আরও কাটার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মধ্যবরিশাল গ্রামের আনোয়ার বয়াতীর ছেলে আবুল কালাম বয়াতীকে। দু’জন শিক্ষকও আছেন আসামি তালিকায়। আসামিরা সকলেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী, সমর্থক এবং ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে সামাজিক বনবিভাগের মোরেলগঞ্জ কর্মকর্তা ফরেষ্টার আব্দুস সালাম বলেন, সন্ন্যাসী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে সামাজিক বনায়নেরও কিছু গাছ দুর্বৃত্তরা কেটে নিয়েছে। বনবিভাগ ওই এলাকা থেকে ১৫পিচ গাছ জব্দ করেছে। তবে বনবিভাগ এ সংক্রান্তে কোন মামলা দায়ের করেনি।
তবে এ সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার আবুল খায়ের বলেন, আসামিরা কেউই আমার লোক নয়। ওই সড়কে নতুন করে কাজ শুরু হবে তাই ঠিকাদারের নির্দেশে রেকর্ডীয় জমির মালিকরা তাদের লাগানো গাছ কেটেছে। ওই গাছগুলোতে বনবিভাগ কোন নাম্বারও দেয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ