ভূয়া ভোটারের প্রমাণ পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রণীত ভোটার তালিকার আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এদিকে সকল সদস্য পদত্যাগ করার ফলে প্রতিষ্ঠানটির আসন্ন নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের জন্য ৮৯১ জন ভোটারের খসড়া তালিকা প্রণয়নের পর তা প্রকাশ করা হয়। গতকাল বুধবার ছিল ভোটার তালিকার উপর আপত্তি শুনানির দিন। শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাবেয়া জুট মিলের মালিক আলহাজ্ব মো. রেজাউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সদস্য সুনির্দিষ্ট ১৩ জন ভোটারের নাম উল্লেখ করে লিখিত আপত্তি দাখিল করেন। গতকাল বুধবার আপীল শুনানি বোর্ড ওই ১৩জন ভোটারের দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখতে পান ১০জনের দাখিলকৃত কাগজপত্র সঠিক নয় ও তাদের নাম অনিয়ম করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ওই আপত্তি দাখিলকারী সদস্যরা পুরো ভোটার তালিকার উপর আপত্তি তুলে তা যাচাই-বাছাইয়ের দাবি জানান।
পরবর্তীতে বুধবার সন্ধ্যায় আপীল বোর্ড স্বল্প সময়ে পুরো ভোটার তালিকার উপর তাদের শুনানি করা সম্ভব নয় জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে নির্বাচনী আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. গোলাম মোস্তফা এবং সদস্য অ্যাডভোকেট শাহজাহান হোসেন ও অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম টিপুর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা জানান, ১৩জন ভোটারের দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তারা ১০জনের দাখিলকৃত কাগজপত্রে ত্রুটি পেয়েছেন ও তাদের নাম অনিয়ম করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে স্বল্প সময়ে পুরো ভোটার তালিকার উপর তাদের শুনানি করা সম্ভব নয় বিধায় তারা পদত্যাগ করেছেন।
এ পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয় বলে সাংবাদিকদের অভিমত জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. মোসাদ্দেক হোসেন কাজল। আপত্তি দাখিলকারীরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রকৃত ব্যবসায়ী নয় এমন সব ব্যক্তিদের ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করে ভোটার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় রাজশাহীর জুয়েলারী দোকান ও টেইলার্স মালিককে চাঁপাইনাবগঞ্জের ধান-চালের ব্যবসায়ী উল্লেখ করে ভোটার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্ট্রি’র সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভোটার তালিকা স্বচ্ছভাবে করা হয়েছে এবং যারা ভূয়া ভোটারের অভিযোগ করছেন তারা আসলে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন আপীল বোর্ড পদত্যাগ করলেও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠনের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়বে না এবং চেম্বারের পরবর্তী সভায় নতুন করে আপীল বোর্ড গঠন করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ