নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ন সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতারা কলেজ অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি দেয়। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। দোষীদের গ্রেফতার ও দল থেকে বহিস্কারের দাবিতে এলাকাবাসী আজ সকালে কলেজের সামনে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন বক্তারা বলেন, গত ২ অক্টোবর কলেজ চলাকালীন সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন তুষার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাকিল ও সুকর্ণের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। ছাত্রীরা কলেজ অধ্যক্ষ আইয়ুব আলীকে বিষয়টি জানালে তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন। কিছুক্ষণ পর তুষার, শাকিল ও সুকর্ণের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি দল অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে সুকর্ণ ও তুষার অধ্যক্ষের দুই পাশে দুইটি পিস্তল চেকিয়ে হত্যা চেষ্টা চালায়। পরে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা ঝাপিয়ে পড়ে অধ্যক্ষকে রক্ষা করে। এ সময় ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী বাদী হয়ে সোনাইমুড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো সন্ত্রসীদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় এবং দল থেকে বহিস্কার না করায় আজ সকাল থেকে এলাকাবাসী ও অভিভাবক মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
সোনাইমুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল মিঞা জানান, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঢাকাসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজা করা হচ্ছে। দ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/4