দু’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা উৎসবে গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠানকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হিন্দু সম্পদায়ের এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আগামী সোমবার ঊষালগ্নে সমুদ্রস্নান শেষে সমাপ্তি ঘটবে রাস মেলা ও উৎসবের। ভক্তদের জাগতিক পাপ ও রোগমুক্তির আশায় সমুদ্রস্নান ও পূঁজা অর্চনা আর দর্শনে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম ঘটবে কুয়াকাটায়। রাস মেলা ও পূজা উদযাপন কমিটি, জেলা প্রসাশন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে কুয়াকাটায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়াও জেলার কলাপাড়া ও গলাচিপাসহ বিভিন্ন স্থানে পালন করা হয় রাস উৎসব।
রাস মেলা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানায়, রাস পূর্ণিমা উৎসব ও মেলাকে ঘিরে এখন প্রস্তুত কুয়াকাটা রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রম। মন্দিরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ১৭ জোড়া রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা। সন্ধ্যায় অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ১৬ প্রহরব্যাপী ৬টি দলের পদাবলী ও নাম কীর্ত্তন। তিন দিনব্যাপী রাস মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে তাদের পসরা সাজিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন ভক্তদের জন্য।
এবার রাস উৎসবে লক্ষাধিক পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। রাস উৎসবকে ঘিরে কুয়াকাটা সৈকতকে নববধূর রূপে সাজানো হয়েছে। হোটেল-মোটেল, রেস্টহাউস, ডাকবাংলোগুলো প্রস্তুত রয়েছে। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য কুয়াকাটার মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট নারিকেল ও ঝাউ বাগান, রাখাইন পল্লী, কেরানীপাড়া বৌদ্ধ বিহার রাখাইন কালচারাল একাডেমি, রাখাইন মার্কেট এলাকা অপরুপ সাজে সাজানো হয়েছে।
রাস মেলা ও পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল বরণ দাস জানান, শনিবার সন্ধ্যায় অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে রাস উৎসব। তিন দিনব্যাপী চলবে পূজা অর্চনা আর কীর্তন। রবিবার রাতভর পূঁজা শেষে পূর্ণার্থীরা সাগরে স্নান করবেন। এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক ছিদ্দিকী জানান, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্নের লক্ষ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কুয়াকাটায় পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের আগমনে সৈকত ও মন্দির প্রাঙ্গণে ও এর আশেপাশে র্যাব ও পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। থাকছে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক দল ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ