কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত নজরুলকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লার বাঙ্গরা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো.শাহ আবিদ হোসেন। সোমবার রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শ্লীলতাহানির ঘটনায় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে সোমবার দুপুরে স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নজরুলকে গ্রেফতারে আদেশ দেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মুরাদনগর উপজেলার ভাঙ্গানগর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে যুবক নজরুল ইসলাম এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গত ২৩ ডিসেম্বর ওই এলাকার অনয় ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় শ্লীলতাহানি করে। প্রতিবন্ধীর ভাই নিজাম উদ্দিন নজরুলের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে নজরুল ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে ৭ জানুয়ারি একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ দিকে হাইকোর্টের আইনজীবী মুজিবুর রহমান প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনার পর সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নজরুলকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে আসামিকে গ্রেফতারের অগ্রগতি প্রতিবেদন কুমিল্লার পুলিশ সুপার ও বাঙ্গরা বাজার থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সঙ্গে আমলযোগ্য অপরাধে আপোষের উদ্যোগ কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়। আদেশে স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের মহা-পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো.শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ঘটনার পর এ ব্যাপারে থানাকে কেউ অবহিত বা অভিযোগ করেনি। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা নিলুফা বেগম তার মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দাখিলের পর গত ৭ জানুয়ারি থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। ভিকটিমও আদালতে ২২ ধারায় শ্লীলতাহানির জবানবন্দি দিয়েছে। অভিযুক্ত নজরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল মোমেনকে প্রধান করে ৩সদস্যের তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে। থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অনিয়মের কোনো প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।