কক্সবাজারের টেকনাফে আব্দুর রশিদ (৩৪) নামে মালয়েশিয়া ফেরত এক ব্যক্তি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সে পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকার হাফেজ ড্রাইভারের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক। রবিবার রাতে বাড়ির পাশের জনৈক ছৈয়দ মাষ্টারের বসত ভিটায় একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন যাবৎ মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন কাটাচ্ছিল। এ ফাঁকে রশিদের বন্ধু পুরান পল্লান পাড়া এলাকার ইউছুপের সাথে স্ত্রী সনজিদার মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই জের ধরে প্রবাস থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ টানাপোড়ন চলে। এ নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আবু হারেছ শালিসী বৈঠক করে বিষয়টির পরিসমাপ্তি ঘটান। পরবর্তীতে স্ত্রী সনজিদা বেগম স্বামীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে মাস তিনেক আগে তাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। দেশে ফিরে আসার পর সে স্ত্রীর সাথে হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকায় শ্বাশুড় বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই পুনরায় স্ত্রীর সাথে কলহে জড়িয়ে তিনি মাস খানেক আগে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। অপরদিকে তার স্ত্রী চলে যায় চট্টগ্রামে। গত শনিবার মানসিক অস্থিরতায় সে বিপুল পরিমাণ ঘুমের ঔষুধ সেবন করলে স্বজনরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সর্বশেষ রবিবার রাতে রশিদ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে টেকনাফ স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। উদ্ধার লাশটির সুরুতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার