মানুষ ভালোবাসার জন্য কত কিছুই না করে। সেটা মানুষের ভালোবাসা। আর পশু পাখির প্রতি ভালোবাসা বা প্রেম জাগতে পারে ক’জনার? বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পাখির প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছেন কয়েক যুবক। সেখানে অন্যান্য যুবক যুবতীরা তাদের ভালোবাসার মানুষটির সাথে ঘুরে বেড়িয়েছেন, সেখানে এ যুবকরা পাখি প্রেমে অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন।
অনুপ্রেরনা যোগালেন অন্যদেরও। ঝালকাঠির সেই সব পাখি প্রেমিক যারা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে গাছে পাখির বাসা বেঁধেছিল তাদের ফুল আর মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন বরিশালের সাদা মনের মানুষ শিল্পপতি দানবীর বিজয় কৃষ্ণ দে।
নিজের বাগানের গাঁদা ফুল ও মিষ্টি পাঠিয়ে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি। বুধবার সকালে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরীকে প্রথমে এ ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় সাংবাদিক পলাশ রায়।
এরপর বিজয় কৃষ্ণ দে’র পাঠানো ফুলগুলো জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী পাখি প্রেমিক তরুণদের হাতে তুলে দেন। ফুলেল শুভেচ্ছার পরে সবাইকে মিষ্টি মুখ করানো হয়।
এ সময় সভাকক্ষে উপস্থিত জেলা প্রশাসন ও শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকেও সহস্রাধিক ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মানিক হার রহমান, এনডিসি বুলবুল আহম্মেদ, জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা নূরুল ইসলাম খলিফা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী তালুকদার, পৌর কাউন্সিলর তরুণ কর্মকার, যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিল, সিনিয়র সাংবাদিক পলাশ রায়, এস এম রেজাউল করিম, স্কুল শিক্ষিকা শিরিন শার্মিন, বিজয় কৃষ্ণ দে’র পরিবারিক সদস্য কাজল দাস, অমৃত ফুডের প্রতিনিধি রতন দত্ত, উত্তম কর্মকার, ঝালকাঠি ‘পাখি প্রেমিক আমারা ক’জননের’ অন্যতম উদ্যোক্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ঝালকাঠির পাখি প্রেমিক তরুণরা সাদা মনের মানুষ বিজয় কৃষ দে’র বাগানের পাখির জন্যও কয়েকটি হাড়ি পাঠিয়ে দেন তার প্রতিনিধিদের কাছে।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠিতে ভালোবাস দিবসে পাখির প্রতি ভালবাসায় গাছে গাছে হাড়ি ঝুলিয়ে দেয় শহরের একদল তরুণ। পাখির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাতে ভালোবাসার দিনে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
‘নির্ভয়ে ভালোবাসায় বাঁধব পাখির নীড়’ স্লোগানে মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী। বছর জুরেই পুরো শহরে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উদ্দ্যোক্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পাখি প্রকৃতির ভারসম্য রক্ষা করে। তাদের নিরাপদ অভয়ারণ্য সৃষ্টি করার জন্য এ উদ্দ্যোগ। এ কার্যক্রম সারা বছরই চালু থাকবে। যেসব এলাকায় গাছ গাছালী বেশী থাকবে সেখানে পাখির অভয়ারণ্য সৃষ্টি করার জন্য এ উদ্দ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকটা মানুষকেই পাখির প্রতি ভালোবাসা থাকা উচিত। যুবকদের এ মহতি উদ্দ্যোগ অপরদের উৎসাহ যোগাবে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল