‘নারীর মেধা পুরুষের চাইতে বেশি। আর পুরুষের পেশি শক্তি নারীর চাইতে বেশি বলেই এই পেশী শক্তি দিয়ে নারীর মেধা শক্তি ধ্বংস করার চেষ্টা করে। নারীর মেধা, নারীর ধৈর্য্য অনেক বেশি বলেই সৃষ্টিকর্তা নারীদেরই গর্ভে সন্তান ধারণ করান।’
বুধবার দুপুরে নগরীর অ্যাড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়ীতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমন মন্তব্য করেন।
বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা সাংসদ ফাতেমা জহুরা রাণী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আলী আকবর, রেঞ্জ ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানসহ প্রমুখ।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, শিশু বয়স থেকে শুরু করে দীর্ঘ পথ চলায় নারীদেরকে অতিক্রম করতে হয় অনেক বৈষম্যের মধ্য দিয়ে। তারপরও নানা প্রতিকূলতার পথ পার হয়ে যারা আজকে আলোর মুখ দেখেছে বা সমাজকে আলোর মুখ দেখাচ্ছে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা যেমন গর্বের তেমনি তারাও অনেক সম্মানিত হচ্ছেন।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমি আশা করব যারা বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আছেন, তারা অবশ্যই আমাদের জয়ীতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন। এতে করে তারা সমাজে যেমন মূল্যায়িত হবেন, তেমনি কর্ম জীবনে উৎসাহিত হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নেই। কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা বেঁচে আছেন। প্রধানমন্ত্রী সত্যি একজন জয়ীতা। আমরা যেসব ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিয়েছি তার প্রত্যেকটি ক্যাটাগরিতে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তার পরিবার নিয়ে যে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন, এত মানুষের মধ্যে কেউই এমন নৃশংসতার সম্মুখীন হয়নি।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আমাদের ৪০ লক্ষ নারীরা গার্মেন্টেসে চাকরি করছে, এটা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। কিন্তু দু’কোটি নারী ঘরে বসে যে কাজ করে সেটাকে যদি আমরা অর্থনীতিতে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে তাদেরকেও আমরা স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবো। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত সোমবার একনেকে আমাদের আড়াইশ কোটি টাকার প্রজেক্ট পাশ হয়েছে। যেটা দিয়ে সারা বাংলাদেশের ১৮টি ট্রেডে আমরা নারীদের প্রশিক্ষণ দেবো। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতার জন্য আমরা রাপা প্লাজায় জয়ীতার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এখন প্রতিটি বিভাগে একটি করে জায়গার ব্যবস্থ্যা করছি। পরে ময়মনসিংহ বিভাগের শ্রেষ্ঠ ১০ জন জয়ীতাকে পুরস্কৃত করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব