মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির উত্তোলিত পাথর দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্টেক ইয়ার্ড নির্মানের লক্ষ্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বরাবর একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সারাদেশে ব্যাপকভিত্তিতে ব্যবহার ও বিক্রির সুবিধার্তে গ্রাহক আকৃষ্ট করতে ৮ রেল স্টেশনে এই স্টেক ইয়ার্ড নির্মান করার কথা বলা হয়েছে। এতে পাথর বিক্রি বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
তবে ওইসব রেলওয়ে স্টেশনে স্টেক ইয়ার্ড থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেলের ডেলিভারীর নিয়ম রয়েছে যেখানে পাথর ডেলিভারী নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলেও এক সূত্রে জানা গেছে।
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির একটি সূত্রে বলা হয়েছে, পেট্রোবাংলা থেকে একটি কমিটি স্ট্যাডি জরিপ করে প্রতিবেদন দিয়েছে। পাথর বাজারজাত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ, ঈশ্বরদী, খুলনা, ভাটিয়াপাড়া, যশোর, নওয়াপাড়া, ফরিদপুর ও গোয়ালন্দ ঘাটে স্টেক ইয়ার্ড করা হবে। এসব স্টেক ইয়ার্ড থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই দ্রুত পাথর ক্রয় করে রেল ও নদী পথে নিজ নিজ গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারগণ।
ওইসব স্থান সমুহে অফিস ও মালামাল রাখার জায়গা বরাদ্দ নিতে অচিরেই রেল ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ আলোচনা শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।
খনি থেকে দ্রুত পাথর উত্তোলন ও মজুদ গড়ে তুলতে বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানির পর ইতোমধ্যেই সে সব যন্ত্রপাতি খনির ভূ-গর্ভে স্থাপন করা হয়েছে। এসব মেশিন ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে খনির ভূ-গর্ভে পাথর কেটে রাস্তা ও রেল লাইন তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি স্টোপ (উৎপাদন ইউনিট) তৈরির কাজও চলছে দ্রুত গতিতে।
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির জিএম (মার্কেটিং) আসাদুজ্জামান জানান, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির উৎপাদন দ্বিগুন হলে প্রয়োজনে সারা দেশে বিক্রির সুবিধার্থে স্টেক ইয়ার্ড গড়ে তোলা হবে। ওইসব ইয়ার্ডে মধ্যপাড়ার উত্তোলনকৃত পাথরের মজুদ গড়ে তোলা হবে এবং রেল ও নদীপথে পাথর পরিবহণ করে যারা ব্যবসা করেন তাদের সুবিধামত নিয়ে যেতে পারবেন ।
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদ খান বলেন, স্টেক ইয়ার্ড করার লক্ষ্যে উল্লেখিত স্থান সমুহে স্ট্যাডি জরিপ সম্পন্ন করে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৯২ লাখ মেট্রিক টন পাথর উৎপাদনের লক্ষ্যে ১২টি স্টোপ তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। বর্তমানে ৪টি স্টোপ তৈরির কাজ চলছে। আগামী মে মাসে এ স্টোপ এর কাজ সম্পন্ন হলেই প্রথম ধাপে ৩০ লাখ মেট্রিকটনের অধিক পাথর উত্তোলন করা হবে। আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ১২টি স্টোপ এর কাজ সম্পন্ন হলে এসব থেকে ৯২ লাখ মেট্রিকটন পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল