ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, 'বাঙালি জাতির প্রকৃত স্বার্থ ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অনুঘটক। শেখ হাসিনার নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে।’
আজ রবিবার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শামসুর রহমান শরীফ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যে সকল ব্যক্তি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ভাতা ও ভাতাভোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। যেখানে একজন ভাতাভোগী পেতেন ৯শ’ টাকা এখন তিনি পাচ্ছেন ১০ হাজার টাকা। ভাতাভোগীর সংখ্যা বর্তমানে ১ লাখ থেকে ২ লাখে উন্নীত হয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই এ যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা একজনও যাতে বাদ না যায়। সে লক্ষ্যেই নীতিমালা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ঈশ্বরদী উপজেলায় ৭৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন। বর্তমানে ৬৮৯ জন মুক্তিযোদ্ধার আবেদন যাচাই বাছাই কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে অন্যান্যের মধ্যে কার্যকরি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, আ ত ম শহিদুজ্জামান নাছিম, আ. খালেক, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. রশীদুল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম