'স্যার খাবেন। ম্যাডাম এক কাপ কফি খাবেন।'- এমনই বিনয়ী সুরে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে আগত পর্যটকদের কাছে গরম কফি বিক্রি করছে মো. রুবেল শিকদার নামে এক যুুবক। ভ্রাম্যমাণ কফি বিক্রেতা ওই যুবকের পরিধেয় পোশাকের সাথে ঝুলে থাকা কফি পানের সরঞ্জামাদি বাড়তি আকর্ষণ করে পর্যটকদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় শরীরে জড়ানো লাল রংয়ের জ্যাকের বিভিন্ন পকেটে ফ্লাক্সে গরম পানি, কপি, চিনি ও ওয়ানটাইম গ্লাস নিয়ে রুবেল সৈকতে ঘোরাফেরা করে। গভীর রাত অবদি চলে তার বেচাকেনা।ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের কছে সে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে এখন।
সৈকতে ভ্রাম্যমান কপি বিক্রেতা রুবেল জানান, বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাই। ওখানে এই ব্যবসাটি জমজমাট। এ কাজটি আমাকে উৎসাহীত করে। বাড়ি ফিরে নিজ উদ্যোগে এ ব্যবসা শুরু করি। প্রথম দিকে ব্যবসা ভাল ছিল না। এখন সৈকতে কফির কদর বেড়েছে। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ কাপ কপি বিক্রি করে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হয়।
ঢাকা ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী তাসনিম তন্নি জানান, এবারই প্রথম কুয়াকাটা বেড়াতে এসে ভাল লেগেছে। পড়ন্ত বিকালে সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করার আনন্দই আলাদা। বিশেষ করে এসময় গরম কফি পান করার মুহূর্তটি ভোলার নয়। একই সময় সমুদ্র, ঢেউ, পড়ন্ত সূর্যের সোনালী আভা ও গরম কফির স্বাদ পুরো বিষয়টিই মজার।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল করিম জানান, কুয়াকাটার জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়ছে। আমরা পর্যটকদের সর্বাত্মক সেবা দানের চেষ্টা করছি। সৈকতে ভ্রাম্যমাণ অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে। এর মধ্যে পর্যটকদের কাছে গিয়ে কফি বিক্রির বিষয়টি আলাদা। পর্যটকরা এতে আনন্দ পায় বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার