পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম অভি গাজী (২৭) বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাত ৮টায় এ ঘটনার পর রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভি মারা যান। ওই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হন চলবিদ্ধ (ট্যেটা) এক নারীসহ আরো তিনজন। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, আহত কোয়েল (৩০) ও আহামদ উল্লাহকে (৩০) বরিশাল বরিশাল মেডিকেলে ও পথচারী পপিকে (২৮) কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। কলাপাড়া থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। নিহত অভি কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির গাজীর ছেলে। অভি ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
অভির পিতা কবির গাজী ও স্থানীয়রা জানায়, রাত আটটার দিকে কলাপাড়া পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডের কালভার্ট এলাকায় কথা বলার সময় নিহত অভি গাজীকে পিছন থেকে প্রতিপক্ষের সুমন গাজী, কালা জসিমসহ সাত থেকে আট জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপড় উপর্যপুরি আঘাত করলে গুরুত্বর আহত হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কোয়েল ও আহমদ উল্লাহ জখম হন। এসময় টেটা নিক্ষেপ করলে স্থানীয় পথচারী হোটেল ব্যবসায়ী পপির পিঠে তা বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কলাপাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সংকটাপন্ন অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত ৩টায় অভি গাজীর মৃত্যু হয়।
কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, নিহত অভির বাবা কবির গাজীর সাথে তার চাচাতো ভাই আক্কাস গাজীর পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার