চলতি মৌসুমে বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে আমের বাগানে ফল রোগবালাই ও রাসায়নিক মুক্ত রেখে স্বাদ ও ফলের আসল রং অক্ষুন্ন রাখতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিচর্যা করছে আম চাষীরা। চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থেকে কমপক্ষে ১০০ মে.টন আম বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে আমের বাগানের এ পরিচর্যা করে যাচ্ছে চাষীরা।
বিষমুক্ত আমের জন্য তারা সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ও ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে। চাষীদের বিষমুক্ত আম ও লিচু চাষের জন্য এডিপি’র অর্থায়নে ও নবাবগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের বাস্তবায়নের একটি প্রকল্পগ্রহণ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পে বাগানীদেরকে বিষমুক্ত আম ও লিচু চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সেক্স ফেরোমন ফাঁদের উপকরণও দেয়া হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউপির রঘুরামপুর গ্রামের আম বাগান মালিক ও মাহমুদপুর ফল চাষী সমবায় সমিতি লি. এর সভাপতি জিল্লুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ৬ একর জমিতে তার আমের বাগান রয়েছে। বাগানে আমের গাছের সংখ্যা ৩১৫টি। এর মধ্যে হিম সাগর, নেংড়া, রুপালী, মল্লিকা ও হাড়িভাঙ্গা জাতের আম গাছ রয়েছে। যা থেকে তিনি গত মৌসুমে সাড়ে ৩ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামানের জানান, চাষীদের আম এবারে বিদেশে রপ্তানির আশা রয়েছে। এরই মধ্যে লন্ডনে আম রপ্তানির জন্য কথাও বলেছেন। সেই লক্ষ্যে তারা বাগানীদের বিষমুক্ত আম উৎপাদনের বিষয়ে পরামর্শ ও প্রশিক্ষন দিয়ে আসছেন।
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলা এলাকায় ৮০২ হেক্টর জমির উপর ১১৩৭ টি বাগান রয়েছে। যা থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫১৫ মে. টন আম।
উল্লেখ্য, বিশেষ ধরনের ব্যাগ দ্বারা গাছে থাকা অবস্থায় ফলকে আবৃত করে রাখাটাই ফ্রুট ব্যাগিং। ফলের একটা নির্দিস্ট সাইজের সময় এই ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। এটা ফল সংগ্রহ পর্যন্ত গাছেই লাগানো থাকে। এই ব্যাগটি বিভিন্ন ফলের জন্য বিভিন্ন রং ও আকারের হয়ে থাকে। এদেশে যেসব ফল সহজেই ব্যাগিং এর আওতায় এনে সুফল পাওয়া সম্ভব সেগুলো হলো- আম, পেয়ারা, ডালিম, কলা, কাঠাল ইত্যাদি। ২০১৪ সালে এধরনের ব্যাগ ব্যবহার করে সুফল পায় আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র চাপাইনবাবগঞ্জ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার