অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নকর্মী লাকি খাতুন খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয়। আর সেই খাবার খেয়ে কাজিপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মনিরুজ্জামান ও সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবায়দা খাতুন মারা যায়। আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে অভিযুক্ত লাকী খাতুন।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই সন্দেহ হওয়ায় লাকী খাতুনকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করলে লাকী খাতুনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। পরে লাকী খাতুন স্বীকার করে, চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বিভিন্ন সময় তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিত। প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় খারাপ ব্যবহার করতো। পরে পরিকল্পনা মোতাবেক পাশের গ্রামের আশরাফ নামের এক কবিরাজের কাছ থেকে বিষ নেয়।
২৫ এপ্রিল হাসপাতালের প্রধান সহকারির বাসা থেকে আনা তরকারির মধ্যে বিষ মেশায় লাকী খাতুন। ওই খাবার খেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান, নার্স জোবাইদা ও প্রধান সহকারী আলমগীর অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে চিকিৎসক ও নার্স মারা যায়। আদালতে নেয়া হলে লাকী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
এ ঘটনায় কবিরাজসহ আরও একজন আটক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
বিডি প্রতিদিন/৯ মে, ২০১৭/ফারজানা