আগামী ২৫ আগষ্টের মধ্যে খনি বিরোধী নেতৃবৃন্দের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার না করলে ২৬ আগষ্ট ফুলবাড়ীতে মহাসমাবেশ ও রাজপথ, রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষনা করেছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা কমিটি।
মঙ্গলবার বিকাল ৪ থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালন কালে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তেলগ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল।
পৌর শহরের নিমতলা মোড়ে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ অবস্থান কর্মসূচিতে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, তেলগ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রিয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় গণফ্রন্ট এর সম্বনয়ক টিপু বিশ্বাস, বাংলাদেশ কমনিউসট পাটির কেন্দ্রিয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রিয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমনিউসট পাটির নেতা মোজাফ্ফর হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্বনয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতান্ত্রিক মজদুর পাটির সম্বনয়ক ডাঃ সামছুল আলম, তেলগ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির দিনাজপুর শাখার আহবায়ক আলতাব হোসেন, সদস্য এ্যাডভোকেট মেহেরুল ইসলাম, ফুলবাড়ী শাখার সদস্য সচিব সাবেক কাউন্সিলর জয় প্রকাশ গুপ্ত, আন্দোলনের অন্যতম নেতা হামিদুল হক, প্রভাষক জারজিজ আহম্মেদ, সঞ্জিব কুমার জিতু, সাবেক সদস্য সচিব এসএম নুরুজ্জামান প্রমুখ।
কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল জানান, খনি বিরোধী আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দের নামে, এশিয়া এনার্জি কোম্পানীর দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ীসহ দেশ থেকে বহিস্কারের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়। আগামী ২৫ আগষ্টের মধ্যে খনি বিরোধী নেতৃবৃন্দের নামে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ২৬ আগষ্ট ফুলবাড়ীতে মহাসমাবেশ ও রাজপথ, রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর এশিয়া এনার্জির প্রধান গেরিএনলাই ফুলবাড়ীতে এসে কোম্পানীর লোকজনের সাথে মতবিনিময় করে। এসময় খনি বিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় উত্তেজিত আন্দোলনকারী জনতার রোষানলে পড়ে এশিয়া এনার্জির প্রধান গেনিএনলাই ও তার সাথে থাকা কর্মকর্তারা। জনতার রোষানল থেকে রক্ষা পেতে গেরিএনলাইসহ তার সাথে থাকা কর্মকর্তারা স্থানীয় প্রসাশনের সহযোগীতায় ফুলবাড়ী ত্যাগ করে। এসময় দু’টি গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে এশিয়া এনার্জির মাঠ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাদি হয়ে দিনাজপুর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আন্দোলনকারী ১৯ জন নেতাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এর কয়েকদিন পরেই ক্ষতিপুরণ দাবি করে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলা দু’টি বিচারাধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৯ মে ২০১৭/হিমেল