বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারের ৩নং পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ উদ্ধার করছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ওষুধগুলো জব্দ করে।
ওষুধগুলো সরকারি হলেও সেগুলো শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের জন্য বরাদ্দকৃত কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে পুলিশ এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জালাল আহম্মেদ কাজল জানান, সকালে স্টাফ কোয়ার্টারের ৩নং পুকুরে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ওষুধগুলো উদ্ধার করে।
শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের সিনিয়র মেডিসিন স্টোর অফিসার ডা. মাহমুদ হাসান জানান, ওষুধগুলোর প্যাকেটের গায়ে লাল-সবুজ এর সরকারি রং রয়েছে এবং ওষুধগুলোর কোনটি ২০১৮ এবং কোনটি ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩ ধরনের ওষুধ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন, জেএমআই সিরিঞ্জ, ডেস্কামেটথাসন সোডিয়াম, লার্ব ৫০প্লাস, লুমনা-১০, ডমপেরিডন, ভ্যাসোপিস্ক, থিওফাইনিল, জ্যাসোকাইন জেল, ডাইক্লোফেন ইনজেকশন, এনক্লোগ প্লাস, সালবুটামল, এজিথ্রোমাইসিন ৫০০। তবে এগুলো শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের জন্য বরাদ্দকৃত কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি। মেডিকেলের ওষুধের স্টোরে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কোতয়ালী মডেল থানার এসআই আবু তাহের জানান, খবর পেয়ে মেডিকেলের কোয়ার্টারের একটি পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।
মেডিকেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছে, শেরে-ই মেডিকেলের কোনো ওষুধ চুরি হয়নি। তারপর বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ কোথা থেকে কিংবা কারা পুকুরে ফেলেছে সেটি তদন্ত করবেন তারা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এসআই আবু তাহের।
বিডি প্রতিদিন/ ১২ মে ২০১৭/আরাফাত