নাটোরের সিংড়া থেকে নিখোঁজ শিশু কেয়া খাতুন (৪) এর লাশ পাবনার গুমানী নদীতে ভেসে উঠল। নিখোঁজের তিনদিন পর মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার চাটমোহরের গুমানী নদীর কাটেঙ্গা এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে চাটমোহর থানা পুলিশ।
শিশু কেয়া খাতুন নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগতিরাইল গ্রামের কাউছার আলীর মেয়ে। শিশুটি গত ৫ জুলাই নানার বাড়ি সিংড়া পৌরসভার শোলাকুড়া মহল্লার আত্রাই নদীর পাশের্^ সহপাঠিদের সাথে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে শিশুটির মা আখি খাতুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
নিহত শিশুর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, শিশু কেয়া খাতুন গত ৫ জুলাই সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে প্রতিবেশী শিশুদের সাথে আত্রাই নদীর পাশে খেলতে যায়। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং ও থানায় জিডি করেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৫ জুলাই শিশু কেয়া খাতুন বাড়ির পাশের্^ খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন তার মা আখি খাতুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার তিনদিন পর পাবনার চাটমোহর গুমানি নদী থেকে একটি অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে শিশুটির পরিবারের লোকজন সেখানে রওয়া দিয়েছেন। তবে নিখোঁজ স্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে লাশটি গুমানী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশটি পচে নষ্ট হয়ে গেছে । পরে বিভিন্ন থানায় তথ্য পাঠিয়ে তার পড়নের কাপড় দেখে লাশ সনাক্ত করা হয়েছে। শিশুটি হয়তো পানিতে পরে এখানে ভেসে এসেছে বলে ধারণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম