খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, "হাওরাঞ্চলে পানিতে ডুবে ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে দেশের মোট খাদ্য চাহিদার ওপর কোন প্রভাব ফেলবেনা। অথচ হাওরের ক্ষতির অজুহাত তুলে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী চালের বাজার অস্থির করার চেষ্টা চালাচ্ছে।" রবিবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে খাদ্য শষ্য সংগ্রহ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন শেষে সাংবাদিকের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, "অসাধু ব্যবসায়ীদের মূল উদ্দেশ্যে হলো চালের বাজার অস্থির করে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলা। ওই ব্যবসায়ীরা সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষনকারী একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক।"
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই। দেশে কোন অবস্থাতেই খাদ্য সংকটের সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবেনা। এ ধরনের কোন ষড়যন্ত্রের চেস্টা করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। অসাধু ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ভূমিকায় থাকবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোন ধরনের সংকট মোকাবেলায় সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানী করার উদ্যোগ নিয়েছে।"
এর আগে সকালে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বিভাগীয় প্রশাসন আয়োজিত নিরাপদ ‘খাদ্য আইন-২০১৩ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২৫লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে সরকার গঠন করেছিলাম। এখন আমরা বিশ্বে চাল উৎপাদনে ৪র্থ স্থান অধিকারী দেশ।
নবাগত বিভাগীয় কমিশনার মো. শহীদুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, "দুই বার আগুন সন্ত্রাসের পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি খুবই মজবুত। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মজবুত অবস্থানে থেকে। আমরা বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছি। যার উদাহরন পদ্মা সেতু।"
মন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়ার জন্য জঙ্গি হামলা করা হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। এখন লক্ষ্য ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার।"
মন্ত্রী বলেন, "আওয়ামী লীগের ৯ বছর পর ২০৩০ সালে বেগম খালেদা জিয়া ভিশন দিয়েছেন। এগুলো তার উদ্ভট চিন্তা। শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তব সন্মত। খাদ্য আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা উন্নত দেশে যেভাবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা হয় আমাদের দেশেও সেই নিশ্চয়তা দিতে চায় সরকার।"
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্তিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, শেখ টিপু সুলতান এমপি ও জেবুন্নেছা আফরোজ এমপি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুল হক এবং জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান।
এর আগে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল সকালে নগরীর সদর রোডের অশি^নী কুমার হলের সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সার্কিট হাউজ চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১১