পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত গণআন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্যাতিত, নিপীড়িত পার্বত্যবাসী। তারা বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক খুন, গুম, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্রের কারণে নিরাপত্তাহীন এখন পাহাড়ের মানুষ। তাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ স্থানীয় বাঙালিরা। কিন্তু পাহাড়ের মানুষ এখন আর সন্ত্রাসীদের অস্ত্রকে ভয় পায় না। তাই তাদের বিরুদ্ধে একত্রে গণ আন্দোলনে নেমেছে পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালিরা।
রবিবার দুপুরে শহরের জিমনেসিয়াম মাঠে নির্যাতিত নিপীড়িত পার্বত্যবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে বক্তরা এসব কথা বলেন।
এসময় সমাবেশে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক বেগম নূর জাহানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, মহাসমাবেশ প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত কিনা মহন চাকমার ছেলে রূপ কুমার চাকমা, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি পারভেজ তালুকদার, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শাহাদাৎ ফরাজি সাবিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কামাল, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাঙালি নেতা মো. কাজি জালোয় প্রমুখ।
মহাসমাবেশে পাহাড়ি-বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহাড়ের চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
এ আগে সকাল ১০টা থেকে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন। সেখান থেকে নির্যাতিত নিপীড়িত পার্বত্যবাসী ব্যানারে বের করা হয় বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিমনেসিয়াম মাঠে মহাসমাবেশে মিলিত হয়। হাজার হাজার পাহাড়ি ও বাঙালি নারী-পুরুষ বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এসময় গণমানুষের সমাবেশ পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ