সিলেটের জৈন্তাপুর থানা হাজতের মধ্যে নজরুল ইসলাম বাবু নামক এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ওসিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাবুর মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সিলেটের আমলী আদালত-১ বিচারক আতিকুল হায়দারের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে, ওই ঘটনায় পুলিশের চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জৈন্তাপুর থানার ওসি সফিউল কবিরকে। অন্যান্য আসামিরা হচ্ছেন- জৈন্তাপুর থানার এসআই শফিকুর রহমান, এএসআই জয়নাল আবেদিন, এএসআই হুমায়ান, কনস্টেবল আবদুল হান্নান, নিহত নজরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী নাসরিন ফাতেমা, আবদুল হান্নান, নোমান আহমদ, শাহরিয়ার মাহমুদ, নাজমুল হোসেন ও মঈনুল ইসলাম।
আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ লালা জানান, হেফাজতে নির্যাতন করে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩ ইং সনের ১৩/১ ও ১৩(২) তৎসহ দন্ডবিধি আইনের ৩৬৪/৩০২/৩৪/ ও ২০১ ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন।
এদিকে, থানা হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকৃত চার পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- এসআই শফিকুর রহমান, এসএসআই জয়নাল আবেদিন, কনস্টেবল আক্কাস আলী ও কনস্টেবল নান্টু চাকমা।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, থানা হাজতে নজরুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে ভোররাতে জৈন্তাপুর থানা হাজতের ভেতরে নজরুল ইসলাম বাবু মারা যান। পুলিশ দাবি করে, বাবু আত্মহত্যা করেছেন। তবে বাবুর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, বাবুকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। গত বছরের ১৬ নভেম্বর জৈন্তাপুরের ঘিলাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন ফাতেমাকে বিয়ে করেন বাবু। বিয়ের পর তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে নাসরিন ফাতেমা বাবার বাড়ি চলে যান এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় ১৯ মে রাতে বাবুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।