দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যা কবলিত এলাকার কোন মানুষ যেন না খেয়ে না থাকে, একজন মানুষও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। খাদ্যের কোন অভাব নাই। যা চাইবেন তার চেয়ে বেশি দেয়া হবে। তবে ত্রাণ বিতরণে কোন দুর্নীতি করলে ছাড় দেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত এ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। পরবর্তীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসিত করা হবে। মানুষের ক্ষতি হোক এটা সরকার চায় না।
বিভিন্ন দপ্তরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জেলা হেডকোয়ার্টারে বসে না থেকে দুর্গত এলাকার মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দায়িত্বশীল হোন। জেলার সার্বিক তথ্য খাতায় লিপিবদ্ধ নয়, মুখস্থ রাখুন। দুর্গত মানুষদের সেবা করাই আপনাদের দায়িত্ব।
মন্ত্রী বলেন, মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে চারটি দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে সরকার। সিলেটের হাওর অঞ্চলের বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোড়া ও পাহাড় ধ্বসের মত বড় বড় দুর্যোগ মোকাবেলা করা হয়েছে। এরপর দেশের ১৩টি জেলায় একযোগে শুরু হয়েছে বন্যা। অন্যান্য দুর্যোগের মত এ দুর্যোগও সুষ্ঠুভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি, গাজী মম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ আলম, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. মনজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ভুইয়াসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
পরে মন্ত্রী বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জুলাই, ২০১৭/ওয়াসিফ