গাজীপুরের টঙ্গী বড় দেওড়ার পরান মন্ডলেরটেক এলাকায় আজ পারিবারিক কলহের জের ধরে খুকু মনি (২২) নামের এক গৃহবধূকে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এসময় এলাকাবাসী নিহতের পূর্বের স্বামী হানিফ হোসেন ওরফে কালা চাঁনকে (৩২) ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নিহতের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, গত ৩ বছর পূর্বে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার হাসুয়ারী গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে হানিফের সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক খুকু'র বিয়ে হয়। বিয়ের পর খুকু মনির উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে। এবিষয়টি জানতে পেরে খুকুর বাবা দেলোয়ার হোসেন স্বামী হানিফকে তালাক নামা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়। এরপর গত ৩-৪ মাস আগে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার মহব্বতপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি রানার সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে খুকু মনি তার বর্তমান স্বামী রানাকে নিয়ে টঙ্গী বড় দেওড়া এলাকার মোখলেছ ভেন্ডারের বাড়িতে বসবাস করে কাঁঠালদিয়া এলাকার ন্যাশনাল পলিমার কারখানায় কাজ করে আসছিলেন।
এ ঘটনার খবর জানতে পেরে হানিফ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মেরে ফেলার জন্য হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখে। ঘটনার দিন খুকু মনি তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পরান মন্ডলের টেক দুলাল মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা হানিফ ধারালো বটি দিয়ে তার গলা, পেট ও হাত কেটে প্রকাশ্যে হত্যা করে। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে আটক করে গনধোলাই দেয়। খবর পেয়ে টঙ্গী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ ও ঘাতক হানিফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত খুকু মনি নরসিংদী জেলা সদরের ব্রাহ্মণদী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। তার আগের সংসারে মারিয়া আক্তার নামের আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি ফিরোজ তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত হানিফকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার