সুন্দরবনের কাঠ চোরাকারবারীরা আবার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সম্প্রতি বেড়ে গেছে সুন্দরী গাছ পাচার। মাত্র তিন দিনের মাথায় রবিবার গভীর রাতে পৃথক দুই এলাকা থেকে গোলপাতার গুড়ির সঙ্গে বাধা নদীতে ভাসমান অবস্থায় এবং আরো একটি ট্রলার বোঝাই বিপুল পরিমান সুন্দরী গাছ জব্দ হয়েছে। এর আগে গত ১১ আগস্ট রাতে বলেশ্বর নদী থেকে ৪০০ ঘনফুট সুন্দরী গাছ বোঝাই একটি ট্রলার জব্দ করা বনরক্ষীরা। এ নিয়ে গত দু’দিনের অভিযানে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের ৭০০ ঘনফুট সুন্দরী গাছ ও দু’টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, বরিবার রাত ১২টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশন সংলগ্ন বলেশ্বর নদীর মাঝের চর নামক এলাকা থেকে জ্ঞানপাড়া টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা ৫৬ পিস গাছ বোঝাই ওই ট্রলারটি জব্দ করেন। অপরদিকে, বগী স্শেনের বনরক্ষীরা একই রাতে বনের ডুমুরিয়া এলাকা থেকে ভেলার সঙ্গে বাঁধা ভাসমান অবস্থায় আরো ১২পিস সুন্দরী গাছ উদ্ধার করেন।
জ্ঞানপাড়া টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান আজ দুপুরে জানান, তারা রবিবার রাতে বলেশ্বর নদীতে নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। রাত ১২টার দিকে সুন্দরবনের ভেতর থেকে একটি ট্রলার আসতে দেখে তারা ট্রলারটি থামাতে বলেন। এসময় ওই ট্রলারটি দ্রুত চালিয়ে সুপতি স্টেশনের মাঝের চরে ভিড়িয়ে চোরাকারবারীরা গহীন বনে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারটি জব্দ করে জ্ঞানপাড়া ফাঁড়িতে এনে পরিমাপ করে প্রায় ২০০ ঘনফুট (৫৬ পিস) সুন্দরী গাছ উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৩লাখ টাকা। এ ব্যাপারে বনবিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাছ পাচারের খবর পেয়ে বগী স্টেশনের বনরক্ষীরা বরিবার রাত ১টার দিকে বনের ডুমুরিয়া এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় নদী ভাসমান গোলপাতার গুড়ির ভেলায় বাঁধা ১২ পিস (১০০ ঘনফুট) সুন্দরী গাছ উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।
ওই বনকর্মকর্তারা আরো জানান, পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি ও বরগুনার পাথরঘাটা এলার সংঘবদ্ধ একটি শক্তিশালী চক্র এ গাছ পাচারের সঙ্গে জড়িত। ঈদ সামনে রেখে ওই চক্রটি বেপরোয় হয়ে উঠেছে। এদেরকে প্রতিরোধ করতে হলে বনবিভাগের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বনবিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার