বগুড়ার নামুজায় মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। হত্যার ঘটনা তদন্তে ও জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে। আজ দুপুরে মা ও মেয়ের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের নামুজা ভান্ডারবাড়ি গ্রামে জনৈক হাফিজার রহমানের বাড়িতে বসবাসরত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী কপিয়া আক্তার (৩২) ও মেয়ে আয়েশা খাতুনের (৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকলেও জানালা ভাঙ্গা ছিল। গোলাম মোস্তফা ঢাকায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করেন। সারাদিন বাড়ি থেকে বের হতে না দেখে প্রতিবেশিরা খোঁজ করতে গিয়ে সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙ্গার পর লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। মা ও শিশু কন্যাকে হত্যার ঘটনায় কোন কুল কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও হত্যার সাথে জড়িত এবং মোটিভ সনাক্ত করা যায়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে অনুসন্ধান কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টীম। নিহত কাপিয়ার স্বামী গোলাম মোস্তফা ঢাকা থেকে বগুড়ায় এসে বুধবার বিকালে লাশ দাফন করেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তি জানান, বুধবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে কাপিয়া ও তার মেয়ে আয়েশার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পরিবার থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম আলী জানান, মা-মেয়ে খুনের ঘটনাটি বুধবার বিকেলে পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও পুলিশের একাধিক টীম বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও বাড়ির মালিক হাফিজার রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার