টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসের ঢাকার আইন কলেজের ছাত্রী রুপা প্রামানিকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে স্বজনদের উপস্থিতিতে রুপার লাশ উত্তোলন করা হবে।নিহত রুপার ভাই হাফিজুর রহমান পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ গ্রহণ করবেন।
এর আগে সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর থানা আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া লাশ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে তা হস্তান্তর ও পুনরায় সিরাজগঞ্জের উপজেলার আছানবাড়ী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে টাঙ্গাইলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এ আদেশ দেন। আদেশ পাবার পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে নিহত রুপার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। বাদি পক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রুপাকে গণধর্ষণ এবং হত্যা ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারসহ পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামীরা হলো- বাসের হেলপার আকরাম, শামিম ও জাহাঙ্গীর, চালক হাবি ও সুপারভাইজার গেন্দু।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে রুপা বগুড়া থেকে ছোয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। রাতে মধুপুরে বনের ভেতর সড়ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন শনিবার পরিচয় না পেয়ে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ দাফন করা হয় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে। সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে অজ্ঞাতনামা ওই তরুণীর ছবি ও পরনের সালোয়ার কামিজ দেখে সনাক্ত করে তরুণীর বড় ভাই হাফিজুর প্রামানিক। সে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ী গ্রামের জিলহাস প্রামানিকের মেয়ে। রুপার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মধুপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আসামীদের গ্রেফতার করে।
বিডি প্রতিদিন/৩১ আগস্ট, ২০১৭/ফারজানা