দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তৈলকুপী (গাজীপাড়া) গ্রামে অবস্থিত নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট। রাজবংশের ঐতিহ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই বিনোদন কেন্দ্রটি এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য নানা ছাড় আর নতুন সাজে সাজানো হয়েছে পিকনিক স্পটটি।
কালীগঞ্জ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নলডাঙ্গা বাজারের কাছে রাজবাড়ী রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পটের অবস্থান। রাজা বিভূতি ভূষণ দেব রায়ের বংশের বিলুপ্তির পর থেকে এই এলাকার মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন সৃজনশীল চিন্তাধারা না থাকলেও পিকনিক স্পটটি ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হিসাবে জন মানুষের মাঝে টিকে থাকবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।
রিসোর্ট সেন্টারটি জাতীয় মান সম্পন্ন হওয়ার কারণে গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় উদ্ভিদের সমন্বয়ে গঠিত পার্কটি পরিণত হয়েছে জাতীয় উদ্যানে। বাহারী ফুলের সমারহ এবং ফলজ ও বনজ শ্রেনীর উদ্ভিদ পার্কের সৌন্দর্য্যকে নব মাত্রা যোগ করেছে, বাহারী ফুলের মোহিনী সুগন্ধ, এছাড়া চোখ ধাঁধাঁনো পাতাল ট্রেন (চলমান) নাগর দোলা, দোলনা, ঘোড়ার গাড়ী, ঘুরণী চেয়ার, স্পীড বোর্ড, ক্যাবল ট্রেন, ভূতের বাড়ী, লাভ কর্ণার মৎস্য কণ্যা, ঝরণার পাহাড়, ৬০ ফুট পাহাড়ের উপর রেষ্টুরেন্ট, আধুনিক বিনোদনের সব ধরনের ব্যবস্থা পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। কিছু কাজ দ্রূত গতিতে চলমান যা এশিয়া মহাদেশের অন্যতম পিকনিক স্পট হিসাবে বিশেষ খ্যাতি লাভ করবে বলে দর্শনার্থীরা আশা রাখে। বিনোদন প্রেমী মানুষ এবং দূর দূরান্ত থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে এই স্থানটিকে বেছে নিয়েছে।
নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এর স্বত্বাধিকারী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক আ. মতিন বিশ্বাস বলেন, শৈশব থেকেই স্বপ্ন ছিল বৃক্ষকে নিয়ে। তাই মনের মত করে বিভিন্ন বৃক্ষ দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করছি পার্কটিকে। সার্বিক নিরাপত্তাসহ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রিসোর্টকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে রাতের সুদৃশ্য মনোরম লাইটিং দর্শনার্থীদেরকে নতুন ভুবনে নিয়ে যাবে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একবার ঘুরে আসলে, মনের খোরাক মিটবে এমনটি প্রত্যাশা করেন তিনি।
পার্ক ব্যবস্থাপকরা জানান, পার্কে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেয়া প্যাকেজে মাত্র ১০০টাকায় ১০ সদস্যের ফ্যামিলি ঘুরতে পারবে সেখানে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার