ঘূর্ণিঝড়, নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ও ৩ দিনের টানা প্রবল বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলের বেড়ীবাঁধের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রায় ২শ' কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হাজার হাজার একর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাস্তায় গাছপালা পড়ে থাকায় রায়পুর-খাসেরহাট-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রামে ৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঐসব এলাকার জনগণ। ঘূর্ণিঝড়ে নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি, টানা বর্ষণে চর কাচিয়া, জালিয়ার চর, টুনুর চর, কানিবগা ও চরলক্ষী গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি এখন পানির নিচে। ফলে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৩০টি গ্রামে ৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি বিদ্যুৎতের খুঁটি ভেঙে ও কয়েকটি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ৩ দিনের প্রবল বর্ষণে ভেসে গেছে মাছের ঘের। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শতশত পানের বরজ। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর ফসলের জমি। উপজেলার অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় জানান, হঠাৎ করে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কিছু কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ও সড়কের গাছসহ ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে।
রায়পুর পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক সুদাশ চন্দ্র রক্ষিত বলেন, অতিরিক্ত লোকজন নিয়ে খুব দ্রুত গতিতে বিদ্যুৎ মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। তবে ইউনিয়নগুলোতে বিদ্যুৎ পেতে আরো দু’একদিন সময় লাগতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল