ফেসবুকে অশ্লীল ও আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক এমপি মো. ইমদাদুল হকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক এমপি মো. ইমদাদুল হকের ঘনিষ্ঠ সহচর পীরগঞ্জ উপজেলার খামার নারায়নপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজে উপজেলার জগথা মুক্তিযোদ্ধা পাড়ার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. খয়রাত আলীর বিরুদ্ধে অশ্লীল আপত্তিকর ও মানহানিকর পোস্ট দেন। এই পোস্ট তিনি সাবেক এম.পি ইমদাদুল হক, ইব্রাহিম খান ও নুরুজ্জামানের সহায়তায় ফেসবুকের মাধ্যমে নেট দুনিযায় ছড়িয়ে ঐ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সুনাম সুখ্যাতি ও রাষ্ট্রীয় অবদানকে অপমান অসম্মান করেন। এছাড়াও এ ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে এই মুক্তিযোদ্ধাকে হয়রানি ও সামাজিক ভাবে হেয় পতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত আছেন। যে বিষয়ে পীরগঞ্জ থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছে। এসব ঘটনার জের ধরে ফেসবুকে এসব আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া হয়।
এবিষয়ে যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত আলী বাদী হয়ে আসামী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু থানা কতৃপক্ষ প্রভাবশালী সাবেক এমপি ও সংশ্লিষ্টদের চাপের মুখে মামলাটি এজাহার হিসাবে রুজু না করে জিডি হিসাবে রুজু করেন। যার নং- ৪৩৭ তাং- ১১-০৮-২০১৭ইং। প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা না পেয়ে ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা গত ৩ অক্টোবর ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের সংশোধনী ২০১৩-এর ৫৭(ক) ধারায় ঢাকাস্থ বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে আনোয়ার হোসেন, ইমদাদুল হক, ইব্রাহিম খান ও নুরুজ্জামানকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-১৩২৯। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেছেন।
মামলার বিষয়ে- সাবেক এমপি মো. ইমদাদুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন খয়রাত নামে আমি কাউকে চিনি না, তবে সে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে জানি। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ৫৭ ধারায় মামলার কোন বিষয় নাই। কারণ এ ধারাটি বাতিল করা হয়েছে এবং বর্তমানে আদালতে এসব মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার