চুয়াডাঙ্গায় ১৭ জেএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়েছে বখাটেরা। মঙ্গলবার দুপুরে জেএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত কয়েকজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করে। এ ব্যাপারে এক অভিভাবক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মঙ্গলবার পরীক্ষা দিয়ে গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কয়েকটি আলমসাধুযোগে (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান) বাড়ি ফিরছিল। বেলা পৌনে ২টার দিকে তারা তিতুদহ গ্রামে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ১০/১২ জন বখাটে অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পেটায় ছাত্র-ছাত্রীদের। এতে একই বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী পুষ্পি, মাসুরা, বিথী, শাবনুর, তাসলিমা, কুসুম, লাবণী, রুনা, সাদ্দাম মিয়া, ইমন হোসেন, রশিদুল, রিপন, শাকিব, রাজা আহমেদ, আবদুল্লাহ মামুন ও তানভীর হোসেন গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ জানান। তিনি জানান, শুধু ছাত্র-ছাত্রী নয়, বখাটেরা আমার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ আলমকেও মারধর করেছে।
এ ঘটনার পর বেলা ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ শতাধিক জেএসসি পরীক্ষার্থী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করে। এ সময় হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা। পরে বেলা সাড়ে ৫টায় আহত জেএসসি পরীক্ষার্থী রাজু আহমেদের পিতা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন বলে প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ জানান। হামলার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পূর্ব কোনো রেষারেষির কারণে বখাটেরা এ হামলা করে থাকতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব