সিলেটের বিশ্বনাথে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড-এর সাবেক তিন কর্মকর্তা ও দুই গ্রাহকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা (নং ৫ ও ৬) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলা ৫-এ আসামিরা হলেন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের বিশ্বনাথ এসএমই/কৃষি শাখার সাবেক ম্যানেজার, সুবিদ বাজারের লাভলী রোডস্থ নির্ঝর-৬ এর মৃত আবদুল ওয়াদুদের পুত্র হোসেন আহমদ, সাবেক ক্যাশ ইনচার্জ, ব্রাক্ষনবাড়িয়া সদর উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের মৃত রকিব উদ্দিন আহমদের পুত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক অফিসার, দক্ষিণ সুরমার বাহুবল রোডের পাঁচপাড়া কটেজের বশির আহমদের পুত্র রাকিব আহমদ, ব্যাংকের গ্রাহক, বিশ্বনাথ উপজেলার কালিজুরী গ্রামের সাজ্জাদুর রহমানের পুত্র মাহমুদুল কায়েস ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার শাখার মহল্লার মোফাজ্জল হোসেন বিশ্বাসের পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেন বিশ্বাস। মামলা ৬-এ মামলায় ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার হোসেন আহমদ ও সাবেক ক্যাশ ইনচার্জ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আসামি করা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের বিশ্বনাথ এসএমই/কৃষি শাখার সাবেক ম্যানেজার হোসেন আহমদ, সাবেক ক্যাশ ইনচার্জ সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক অফিসার রাকিব আহমদ বিশ্বনাথ শাখায় কর্মরত থাকাবস্থায় তাদের উপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হতে এবং অন্যকে লাভবান করতে ব্যাংকের গ্রাহক মাহমুদুল কায়েসের সহযোগিতায় সাতচল্লিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও মোয়াজ্জেম হোসেন বিশ্বাসের সহযোগিতায় পঞ্চান্ন লক্ষ টাকা পরস্পরের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
অপর মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকের একই শাখায় কর্মরত থাকাবস্থায় সাবেক ম্যানেজার হোসেন আহমদ ও সাবেক ক্যাশ ইনচার্জ সালাহ উদ্দিন আহমদ গ্রাহকের অজান্তে স্বাক্ষর জাল করে তার নামে চেক বই ইস্যু করে তিন লক্ষ টাকা ও গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে পে-অর্ডার ইস্যুপূর্বক পাঁচ লক্ষ টাকা পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, দুদক মামলা দিয়েছে আমরা সেটা নিয়েছি। তবে, এটি তারাই দেখবে।
বিডি প্রতিদিন/১৭ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল