অপহরণের ৪ দিন পর এক স্কুলছাত্রী (৭)কে পার্বতীপুর পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুরজাহান নামে এক নারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
আটক নুরজাহান পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের হানিফুল ইসলামের স্ত্রী।
অপহৃত স্কুল ছাত্রী দিনাজপুরের পার্বতীপুরের আশার আলো বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী।
সোমবার সকালে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের থেতড়াই পাতিলাপাড়া গ্রামে নুরজাহানের আত্মীয় মনছুর আলীর বাড়ি থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা কামরুজ্জামান দুলাল বাদি হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে পার্বতীপুর মডেল থানার শিশু বান্ধব বিভাগের উপ-পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম সোমবার দুপুরে শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে ওসি জানান।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান জানান, গত ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে অভিযুক্ত নুরজাহান উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া রঘুনাথপুর গ্রামে কামরুজ্জান দুলালের বাড়ি থেকে তার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে (৭) ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে। পরে মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ দাবি করা হয়। অপহৃতার বাবার অভিযোগ পাওয়ার পর অপহরণকারী নুরজাহানকে গ্রেফতারের তৎপরতা চালানো হয়।
তিনি জানান, অপহরণের পর নুর জাহান ওই স্কুল ছাত্রীকে কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিয়ে যায় ও তাকে তার নিজের মেয়ে পরিচয় দেয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুরজাহান নামে ওই নারীকে আটক করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন