রাঙামাটিতে হঠাৎ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫০টি বসতঘর ও ৬টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার রাত ৩টার দিকে শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার ২নং পাথর ঘাটা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে চুলার আগুন থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এ ঘটনায় ২ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার ২ নং পাথর ঘাটা পাড়ায় একটি স্থানীয় চায়ের দোকানের ভিতর থেকে প্রথমে আগুন দেখা যায়। পরে আগুন দোকানের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আগুন মুহূর্তে আশেপাশের অন্যান্য বাড়ি-ঘর ও দোকানেও ছড়িয়ে পড়ে। এ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পাথরঘাটা পাড়ার ৫০টি বসতঘর ও ৬টি দোকান। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় দেড়শতাধিক পরিবার। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঠে আসে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।
স্থানীয় এলাবাসীর সহযোগিতায় চেষ্টা চালিয়ে ভোর রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা।
এব্যাপারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সেকান্দর আলী, নূর ইসলাম, বেলাল হোসেন, আবুল কালাম জানান, অঞ্জলির মা’র চায়ের দোকানের চুলা থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রেপাত হয়। পরে আগুন আমাদের বাড়ি-ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ অগুন সর্বস্য কেড়ে নিয়েছে। কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। কোন রকমে প্রাণ নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে এসেছি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. মুছা মাতব্বর জানান, ক্ষগিগ্রস্তদের রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা ২টি কম্বল, দুপুর ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি সদর জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. রেদুওয়ানুল ইসলাম, রাঙামাটি চেম্বার অফ কর্মাস চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ভূইঁয়া।
বিডি প্রতিদিন/২০ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল