চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিবাদের শিকার হয়েছেন এবার অতি দরিদ্র পরিবারের ১৭৮জন শ্রমিক। ফেরত যাবে তাদের ৪০ দিনের পারিশ্রমিকের সোয়া ১৪ লাখ টাকা। একই সাথে ফেরত যাবার উপক্রম হয়েছে গোটা ইউনিয়নের উন্নয়নে বরাদ্দ হওয়া আরো ৬ লাখ ২৩ হাজার টাকার কাজ।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৩নং পুটিখালী ইউনিয়টি এখন এই হালে পৌঁছেছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিপরীত মুখী অবস্থানের কারণে গেল বছরের ২৩ জুলাই থেকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে ইউনিয়নটিতে। এর ফলে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া অতি দরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীর কাজও শুরু হয়নি। এ ইউনিয়নে এবার ১শ’ ৭৮জন শ্রমিকের বিপরীতে ১৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। শ্রমিকদের তালিকা ও প্রকল্প জমা না দেওয়ায় ওই টাকা ফেরত যাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন মঙ্গলবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দফায় দফায় তাগাদা দিয়েও প্রকল্প ও লেবার লিস্ট পাওয়া যায়নি। তাই পুটিখালী ইউনিয়নের অতি দরিদ্রদের কর্মসৃজন কর্মসূচীর টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হতে পারে। একই সাথে এ ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্দ হওয়া টিআর, কাবিখা, কাবিটা, টিআর সোলার ও কাবিটা সোলার এর ৬ লাখ ২৩ হাজার টাকার কাজও ফেরত দেওয়া হতে পারে।
এ সম্পর্কে ইউপি সচিব মো. ফারুকুল ইসলাম বলেন, মেম্বাররা পরিষদের কোন দাপ্তরিক কাজ করছেন না। সভা ও রেজুলেশন করা যাচ্ছে না। তাই অর্থনৈতিক সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ আছে। ব্যাংকের একাউন্টগুলোও ওয়ান ওয়ে(টাকা জমা দেওয়া যায়, তোলা যায় না) হয়ে আছে।
এ সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান শাহচান মিয়া শামীম বলেন, ‘উচ্চ আদালত আমার বিরুদ্ধের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করাছেন। এখন আমি চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল আছি। কিন্তু মেম্বাররা পরিষদে আসেন না। কোন কাজে সহযোগীতাও করছেন না। তাই প্রকল্প বা লেবার লিস্ট তৈরী করা সম্ভব হয়নি’।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন