টানা কয়েকদিনের কনকনে ঠাণ্ডায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ দিনই দুপুর ১২টার আগে সূর্যের দেখা মিলে না। কুয়াশার সাথে যোগ হয়েছে ঠাণ্ডা বাতাস এতে করে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। ঠাণ্ডার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
মঙ্গলবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পুরাতন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অলস সময় কাটাচ্ছে সেখানে কর্মরত দিনমজুররা। পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
দিনমজুর শরিফুল ইসলাম ও আব্দুল কাদের জানান, ঠান্ডার কারণে কাজ কমে যাওয়ায় অলস সময় কাটাতে হচ্ছে তাদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাথিয়া নাজ ও হুমায়রা জানায়, সময়মতো রিক্সা পাওয়া যায়না। যদিও পাওয়া যায় তাও ভাড়া নিচ্ছে বেশী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকৎসা কর্মকর্তা ডা. মোঃ নাদিম সরকার জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ঠান্ডাজনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করা। গত ২৪ ঘন্টায় ঠান্ডাজনিত ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ২৩ জন ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন। পহেলা জনুয়ারি থেকে ঠান্ডাজনিত ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে প্রায় ২৫০জন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে আরও ২’শ জন রোগী।
তিনি জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে এবং শিশুদের ওয়ার্ড গরম রাখার জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুতিক বাল্ব লাগানো হয়েছে। এ অবস্থায় আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি আরও জানান, শিশু ও বয়স্কদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৯ জানুয়ারি,২০১৮/ ই জাহান