টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজ চতুর্থ দফায় তিনজনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এরা হলেন নিহত রুপা খাতুনের বড় ভাই হাফিজুর রহমান প্রামাণিক, আব্দুল বারেক ও মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এ নিয়ে মামলায় ১২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো। আাগামী রবিবার চারজন ম্যাজিষ্ট্রেটের স্বাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।
টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিশেষ পিপি একেএম নাসিমুল আক্তার ও মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। বেলা সোয়া দুইটা পর্যন্ত স্বাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
আদালত সূত্র জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯ এর তিন ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ, ২০১ ধারায় লাশ গুমের অভিযোগ এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশীটে। চার্জশীটে মোট ৩২ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।
উলেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসের ( ছোঁয়া পরিবহন ) শ্রমিকরা গণধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ২৮ আগস্ট রুপার ভাই মধুপুর থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারি শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। বর্তমানে আসামিরা টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৯ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল