কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল এ অঞ্চলের মানুষ। আজ মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই ভারি কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার সব এলাকা। তবে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সূর্যের মূখ দেখা দেওয়ার পর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে দুপুরের পর থেকে কনকনে ঠান্ডা বাড়তে থাকে।
তীব্র শীতে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
প্রচন্ড শীতে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিকরা পড়েছে চরম বিপাকে। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে কোন রকমে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। রাতে ঘন কুয়াশা ছিল। এদিকে শিশু ও বৃদ্ধারা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে কিংবা আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অসহায় ও ছিন্নমুল মানুষের জন্য ইতিমধ্যে দিনাজপুরে ৭০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরো ৮০হাজার শীতবস্ত্র চেয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এটাই আজ (মঙ্গলবার) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত ৩ জানুয়ারি থেকে দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর দিনাজপুরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। তবে মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা উন্নতির পথে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার