২০ বছর ধরে যাতায়তের রাস্তা নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ এবং দ্রুত সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলাবাসী। মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।
জানা যায়, টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নে ১৯৯৮ সাল হতে ৬নং ওয়ার্ডের উলুচামরী কোনার পাড়া এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি নিয়ে সুবিধাভোগী মহলের ষড়যন্ত্র এবং অবহেলায় সংস্কার না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী। মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসী যাতায়াতের রাাস্তাটি দ্রুত সংস্কার এবং ষড়যন্ত্র বন্ধের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান সড়কে এসে শেষ হয়।
এরপর এক প্রতিবাদ সভায় তারা বলেন, তৎকালীন ১৯৯৬ সালে আলহাজ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী এমপি হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে হ্নীলা উলুচামরী কোনার পাড়াবাসীর যাতায়াতে ভোগান্তি দূর করার জন্য গ্রামবাসীর অনুরোধ এবং জমি অনুদানে প্রধান সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি. বিস্তৃত একটি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করেন। এতে উক্ত গ্রামের প্রায় ৩/৪ হাজার মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসে। কিন্তু ২০ বছর ধরে সংস্কারের অভাব, বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় রাস্তাটি প্রায় বিলীন হয়ে যায়। তবুও কেউ মেরামতে এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘদিন পর গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ মিলে সকলের সহায়তায় এই সড়কে একটি কালভার্ট তৈরি করেন। ইতিমধ্যে এই গ্রামের বাসিন্দা ও জমিদাতা কবির আহমদের মৃত্যুর পর তারই ছেলে নুর মোহাম্মদ মামুন এই রাস্তাটি নিয়ে চক্রান্ত শুরু করে। এই গ্রামবাসীর দুঃখ লাঘবে অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। এই গ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার উপর স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের সুদৃষ্টি না থাকায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মেরামত ও সংস্কার না হওয়ায় প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যায়। আবারও গ্রামবাসী উদ্যোগী হয়ে এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য স্থানীয় ব্যক্তিদের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করলে অনেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকারি মহলের সাড়া মেলেনি।
এই ব্যাপারে গ্রামের বাসিন্দা নুরুল বশর বলেন, নুর মোহাম্মদ কোন সংশ্লিষ্টতা ছাড়া স্থানীয় আনসার-ভিডিপি কমান্ডার মো. সেলিমের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে গ্রামবাসীকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এসব বিষয়ে সরকারি মহলকে দায়িত্বশীলতার সাথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/০৯ জানুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম