পৌষের শেষ দিকে জেঁকে বসা শীতে কাঁপছে উপকূলীয় জনপদ পটুয়াখালীর কলাপাড়া। হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত কারণে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্র কুয়কাটায় কমে গেছে পর্যটকদের উপস্থিতি। পহেলা জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় শতাধিক রোগী আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের বেশির ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ। আবার অনেকেই বর্হি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছে। রোগীদের ভিড়ে ডাক্তারদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মুসকান (২০মাস), রোহান (১৪মাস), ইবান (১০ মাস), সুমি (১৯), মাসুম (৪০), শাহিদা (৭), ফারজানা (১৩মাস), মারিয়া (৩), ফরিদা (৪৫) সহ ৫০ জন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া অনেকেই বর্হিবিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। তবে হাসপাতালে সিট সংকট থাকলেও পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র শীতের কারণে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছে প্রায় সবাই। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা নিদারুন কষ্টে দিন যাপন করছে। কাজ না থাকলে ঘরের বাইরে কেউ বের হচ্ছেন না। হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এদিকে পর্যটন মৌসুম হলেও পর্যটন নগরী কুয়কাটায় কমে গেছে পর্যটকের উপস্থিতি।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, শীতের তীব্রতা বাড়ার পর থেকে বিভিন্ন হোটেল-মোটেলের বুকিং রুমের প্রায় নব্বই ভাগ বুকিং বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে, উত্তরে অবস্থিত হিমালয় পর্বত থেকে হিমশীতল বায়ু প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। একই সাথে ঊর্ধ্বাকাশের জেটবায়ু স্থলভাগের দিকে নামছে। বঙ্গোপসাগরে অস্বাভাবিক কোন চাপ না থাকায়, শৈত্য প্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে ওই সূত্র থেকে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্ময় হাওলাদার জানান, হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ার কারণে ডায়রিয়া ও নিওমোনিয়া দেখা দিয়েছে। রোগীদের সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভয় পাওয়ার মত কিছুই নেই। অমাদের পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ রয়েছে বলে তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব