যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কে আজ সকাল থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট। এতে সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। অতিরিক্ত ভাড়া গুনে সিএনজি-অটো-রিকশায় চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। পৌরসভা কার্যালয় ভাঙচুর ও মেয়রকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা ও যুগ্ম আহবায়ক ওমর আলী সরকারকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় তাদের সমর্থকরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাস ভাঙচুর করেন। এ কারণে বাস-মালিক সমিতির নেতারা বৈঠক করে বাস ধর্মঘট আহ্বান করেন। অন্যদিকে, বাস পোড়ানোর ঘটনায় বাস মালিক বাদী হয়ে ১৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
বাস মালিক নেতা মনিরুল ইসলাম জানান, যেকোনো আন্দোলন হলেও শুরু হয় গাড়ি ভাঙা। এ যেন অরজকতা শুরু হয়েছে দেশে। এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব না। এ সমস্ত সমস্যার সমাধান না হলে আমরা চালকরা গাড়ি চালাব না।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার জানান, বেলকুচিতে যুবলীগ নেতা গ্রেফতারের পরপর কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী বেলকুচির চালা ও মুকুন্দগাঁতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকারের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকবে সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কে। বাসে অগ্নিসংযোগের জড়িতদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান জানান, বাস মালিকের দায়ের করার মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার