ময়মনসিংহ নগরীর বলাশপুর বালুচরে বুধবার দিবাগত রাতে বন্দুকযুদ্ধে মোহাম্মদ নাঈম (২৩) নামে এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, তিনি পেশাদার ছিনতাইকারী। সে শহরের কৃষ্টপুর এলাকার নাজিরের ছেলে। কোতুয়ালী মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এ ব্যাপারে থানায় পুলিশের উপর হামলা এবং অপরটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম আজ দুপুরে পুলিশের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে বলাশপুর বাজার এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হন কলেজছাত্র ইব্রাহীম খলিল। এ ঘটনায় বুধবার রাতে খলিল হত্যায় জড়িত সন্দেহে নাঈমকে শহরের কৃষ্টপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অন্য ছিনতাইকারীদের ধরতে বালুচরে যৌথ অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীর অন্য সহযোগীরা ককটেল নিক্ষেপ ও পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে পুলিশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এসময় ছিনতাইকারীর দলের সদস্য খোরশেদুল ওরফে খুশুকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়াও কলেজছাত্র ইব্রাহীম খলিল হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইনছানকে গত ২৩ জানুয়ারী রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, এ সময় আহত হয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার এস.আই মাহবুব ও গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল রাশেদ। তাঁদের ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কোতোয়ালী মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজি, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান, কোতোয়ালী মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার