ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা গাজীরটেক ইউনিয়নের চরঅযোধ্যা মোল্যা ডাঙ্গী গ্রামের কলাচাষী মো. ফজল বেপারীর বাগানের প্রায় ২ হাজার ২শ’ কলা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দিবাগত রাতে বাগানের কলা গাছের মাথার অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় ১১ লাখ টাকার ক্ষতি হবার পাশাপাশি আয়ের একমাত্র উৎসটি হারিয়ে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত দু’বছরে ফজল বেপারীর কলা বাগানে দু’দফায় প্রায় ৪ হাজার ২শ’ কলাগাছ কেটে ফেলা হয়। গত ইউপি নির্বাচনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে ফজল বেপারীর কলা বাগানে একের পর এক গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটাচ্ছে দুবৃতার্তরা। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কলাচাষী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ক্ষতিগ্রস্থ কলাচাষী ফজল বেপারী জানান, তার পিতার মৃত্যুর পর গত তিন বছর আগে বসতবাড়ীর পিছনে ৫ বিঘা জমির ওপর সবরী কলা বাগান গড়েন তিনি। নিজের সব পূঁজি এবং ঋণ করে ওই কলা বাগান করা হয়। এ বাগানের আয় দিয়েই চলতো তার পরিবার। প্রথম বছর বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ার পর ২য় বছর একই বাগানে আবারো কলাচাষ করেন তিনি। ওই বছর এলাকায় ইউপি নির্বাচন এলে তিনি এক প্রভাবশালী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সমর্থন না দিয়ে পার্শ্ববতী গ্রামের আরেক প্রার্থীকে সমর্থন দেন। এতে নিজ গ্রামের চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বার বার হুমকি দেন। সে নির্বাচনে ফজল বেপারীর সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইয়াকুব আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইউপি নির্বাচনের কিছুদিন পর গত বছর রাতের আঁধারে দুবৃর্ত্তরা বাগানের প্রায় ২ হাজার ধরন্ত কলা গাছ কেটে ফেলে। সেই ক্ষতিগ্রস্থ বাগানটি ফের তৈরী করেন তিনি। গত বুধবার রাতে একই কায়দায় ফজল বেপারীর বাগানটির দুই হাজারের বেশী কলা গাছ কেটে ফেলে দুবৃর্ত্তরা।
এ ব্যাপারে গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী জানান, প্রথম বার কলা বাগানটি কলা গাছ কেটে ফেলার পর অনেক টাকা ঋণ এবং ধার দেনা করে ফজল বেপারী বাগানটি ২য় দফায় করেন। কিন্ত এ বছর বাগানের প্রায় ২ হাজার উঠতি ও থোর কলাগাছ যেভাবে বিনষ্ট করা হয়েছে তাতে পরিবারটি একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ অন্যায় কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার