'মার্ডার হওয়ার পর আটক হওয়া ছেলেদের স্বীকারোক্তিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করি। পুলিশই এই ৬ জনের নাম-পরিচয় এনে দিয়েছিল। এখন তারাই আবার বলছে- মূল আসামি এরা নয়, অন্য কেউ। এরই মধ্যে এজাহারভূক্ত একজন ও আটক হওয়া আরেক আসামির জামিন হয়েছে। মামলার মূল অভিযুক্ত ফাহিম গ্রেফতারই হয়নি। সব মিলিয়ে আমরা ধোয়াশার মধ্যে আছি।’ আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন, খুলনায় ছুরিকাঘাতে নিহত খুলনা পাবলিক কলেজের ছাত্র রাজিনের বাবা শেখ জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামের বাড়িতে ছেলের দাফন ও দোয়া অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। এর মধ্যে কি দিয়ে কি হয়েছে বলতে পারবো না। তবে আমরা রবিবার মামলায় আইনজীবী দিবো।’
জানা যায়, হত্যা মামলার চার দিনের মাথায় বুধবার মামলার আসামি সানি ইসলাম আপন (১৪) ও সাক্রান সালেহ মিতুলকে (১৪) জামিন দিয়েছেন খুলনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা। এর মধ্যে সানি ইসলাম ২২ জানুয়ারি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছিল।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রজব আলী সরদার জানান, জামিনপ্রাপ্ত আসামী সানি ইসলাম হত্যাকান্ডে অংশ নেয়নি। এজাহারেও তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে কোন অভিযোগ করা হয়নি। এদিকে মামলার তদন্ত ও পুলিশের কর্মকান্ড নিয়ে এরই মধ্যে নিহতের স্বজন ও সহপাঠীদের মধ্যে নানা ধরনের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এজাহারভুক্ত আসামি ফাহিমকে আটকের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে এরই মধ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ মূল আসামি সাব্বির হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের ভাষ্যমতে তাকে আটক করা হয়। আর আদালতেও সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মামলার এজাহারভূক্ত ৬ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ জন আটক হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য অনুসারে হত্যাকান্ডের মূল আসামি রাজমিস্ত্রি সাব্বির হাওলাদারের নাম এজাহারে ছিল না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার